Saturday, September 13, 2008

কৃষি অফিস বলছে, করার কিছু নেই মেহেরপুরে আউশক্ষেতে ছত্রাকের আত্রক্রমণে কৃষক দিশেহারা

১৪.০৯.০৮
।।সমকাল।। মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুর জেলার হাইব্রিড আউশ ধানক্ষেতে ব্যাপকহারে ছত্রাকের আত্রক্রমণে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ব্যাপক হারে ‘ফলস স্ট§ার্ট’ বা ‘লক্ষ্মীর গু’ নামের এই ছত্রাকনাশক রোগে আত্রক্রাšø ধানের শীষ হলুদ হয়ে পরে কালো হয়ে যাচ্ছে। এসব আত্রক্রাšø জমির ধানে চাপ দিলে এক ধরনের হলুদ পদার্থ বের হয়ে আসছে। এ ব্যাপারে কৃষি অফিস বলছে, এখন কিছুই করার নেই।
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা এবং গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ও গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বিভিল্পু মাঠে সরেজমিন দেখা যায়, এই রোগটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। সাহারবাটি গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক ক®দ্ব করে উল্পুত জাতের এই বীজ সংগ্রহ করে আবাদ করি। কিন্তু এখন সব কিছুই মাটি হয়ে গেল। এই দুর্মহৃল্যের বাজারে এখন ছেলেমেয়েকে কি খাওয়াব!’ গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক নহৃরুল আলী এই প্রতিনিধিকে বলেন, ‘ইন্ডিয়া থেকি এই ধানের বীজ এনিছিনু, বিঘিতে ২৫ মুণ ধান হয় শুনি। অতি নোভ করি এখুন সবই হারানু।’ তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘ইউনিয়নে ইউনিয়নে কৃষি বিভাগের নোক আছে। তারা যদি আমাদের আগে থেকি এসব বীজ না নাগাবার পরামর্শ দিতোক তাহলি এমন নুকশান থেকি আমরা বাঁচতুক।’
মেহেরপুর জেলা কৃষি স¤ক্স্রসারণ অধিদফরের উপ-পরিচালক মোঃ ইউনুস আলী জানান, উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিজ আউশধানে এই ছত্রাকনাশক রোগ দেখা দিয়েছে। ছত্রাকনাশক ব্যাবি¯দ্বন ওষুধটি প্রতি কেজি বীজে তিন গ্রাম করে মিশিয়ে শোধন করে বীজ বপন করলে এই রোগ থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেত। আত্রক্রমণের যদি টিল্কল্ট নামের ছত্রাকনাশক ওষুধটি ধানের জমিতে ¯েক্স্র করা হতো তাহলে রোগটি স¤ক্স্রসারণ থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেত। এখন কিছুই করার নেই।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor