Monday, September 22, 2008

সন্তোষজনক নয় ভেষজ উদ্ভিদ চাষাবাদের অগ্রগতি

২২.০৯.০৮
ইত্তেফাক ।। সৈয়দ নেসার আহমদ, শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা


ছয় বছর পূর্বে বনবিভাগ এবং পাঁচ বছর পূর্বে বাংলাদেশ চা বোর্ড পৃথক পৃথক ভাবে দেশে প্রথমবারের মত ব্যাপকভিত্তিক ও সম্প্রসারণমূখী ভেষজ উদ্ভিদ চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু করলেও উভয় কার্যক্রমই ইতিমধ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে।

আাদি ও অকৃত্রিম ভেষজ চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানুষকে উৎসাহী করে তোলার উদ্দেশ্যে সিলেট বনবিভাগ মৌলভীবাজার ফরেষ্ট রেঞ্জ এর লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে দুই একর জমির উপর ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে দেশের প্রথম ভেষজ বাগান ‘আরোগ্যকুঞ্জ’। ৪১ প্রজাতির বৃক্ষজাতীয়, ১৮ প্রজাতির গুল্মজাতীয় ও ২১ প্রজাতির লতাজাতীয় গাছগাছালী আরোগ্যকুঞ্জে রোপন করা হয়।

অপরদিকে দেশের ৬৩টি চা বাগানের প্রায় ১১শত হেক্টর চা চাষ অনুপযোগী জমিতে ভেষজ, ফলদ ও মশলা জাতীয় উদ্ভিদ চাষের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ড ২০০৩ সালে একটি প্রকল্প তৈরী করে। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউটে (বিটিআরআই) একটি কেন্দ্রীয় নার্সারীসহ মাইজদিহি, দেওড়াছড়া, পাত্রখোলা, এম আর খান ও বালিশিরা চা বাগানে মোট ৬টি নার্সারী তৈরী করা হয় এবং ২০০৩ সালের ২৯ আগষ্ট সবক’টি নার্সারী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী নার্সারীগুলি হতে পরবর্তী তিন বছরে চা বাগানগুলোতে মোট ৯০ লাখ ভেষজ উদ্ভিদ চারা সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল।

ভেষজ উদ্ভিদ চাষাবাদে বনবিভাগ ও চা বোর্ডের উদ্যোগ দু’টিতে দৃশ্যত ভাটা পড়েছে। বনবিভাগের আরোগ্যকুঞ্জে ইতিমধ্যে অযতœ অবহেলার ছাপ সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বাগান রক্ষণাবেক্ষণে কোন ব্যয় বরাদ্দ না থাকায় আরোগ্যকুঞ্জ ইতিমধ্যে জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে পড়েছে। বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র আরোগ্যকুঞ্জের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনার বিষয়ে কিছু অবগত নয় বলে জানায়। অপরদিকে চা বাগানে ভেষজ উদ্ভিদ চাষাবাদ বিষয়েও চা বোর্ড সূত্র কিছু জানাতে পারেনি। বিটিআরআই এবং সংশ্লিষ্ট চা বাগানগুলি তাদের চা গাছের সাথে ভেষজ উদ্ভিদের চারাগাছগুলিকে কোনমতে বাঁচিয়ে রাখলেও সম্প্রসারণমুখী কোন কার্যক্রমই হাতে নেয়া হয়নি বলে সূত্র জানায়।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor