Tuesday, September 16, 2008

সারের অভাবে চুয়াডাঙ্গায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষ হুমকির মুখে

১৭.০৯.০৮
।।সমকাল।। মানিক আকবর, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় আগাম শীতকালীন সবজির আবাদ করে যে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটার কথা, এবার সেই কৃষকদের মুখই তমসাচ্ছল্পু হয়ে পড়েছে। আগাম সবজির আবাদ গত বছর বেশ লাভজনক হওয়ায় এবার কৃষকরা আরো বেশি করে ঝুঁকেছিলেন কপি, টমেটো, মুলাসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজি আবাদে। কিন্তু সময়মতো প্রয়োজনীয় সারের সংকট তাদের লাভের আশার গুড়ে বালি ছড়িয়ে দিয়েছে যেন। যে জমিতে ইউরিয়া দরকার ৬০ কেজি, সেখানে সরকারি বরাদ্দ মিলছে মাত্র ৩ কেজি। এ অবস্ট’ায় চুয়াডাঙ্গায় আগাম শীতকালীন সবজি আবাদে কৃষকরা পড়ে গেছেন মহামুসিবতে। জরুরি ভিত্তিতে সার না পেলে আগামীতে তারা আগাম সবজির আবাদে আগ্রহী হবেন না এ অঞ্চলের কৃষকরা।
কৃষি অফিস জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪টি উপজেলায় গত মৌসুমে ফুলকপির আবাদ হয় ৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে আর বাঁধাকপি ছিল ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। এবারো কফি, বেগুন, মুলা, টমেটো থেকে শুরু করে অন্যান্য সবজির আগাম আবাদ করেছেন কৃষকরা। জেলার দামুড়হুদা উপজেলার একটি এলাকায়ই এবার আগাম কপির আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। গতবার যা ছিল ১ হাজার হেক্টর। দামুড়হুদা কৃষি অফিস এ তথ্য দিয়ে বলেছে, লাভজনক হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার আগাম সবজির আবাদ বেড়েছে। দামুড়হুদা উপজেলায় আনাজি কলার বাগান রয়েছে ৪২০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া পেঁপে ১৮৫ এবং বেগুন রয়েছে ১ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে।
এলাকার কৃষকরা বলেছেন, আগাম কপির জমিতে এখন সার দরকার; কিন্তু যে জমিতে দরকার এক থেকে দেড় বস্টøা সার, সেখানে পাওয়া যাচ্ছে (বিঘাপ্রতি) মাত্র ৩ কেজি। ফলে এলাকার কৃষকদের মধ্যে এখন বিরাজ করছে কেবলই হতাশা। সার নিতে গিয়ে প্রায়ই এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কৃষকদের বাগ্বিত ার ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে ডিলারদের সঙ্গেও কৃষকদের ঝগড়াঝাঁটি যেন লেগেই আছে। সার সংকটের প্রকটতায় অনেক চাষী বর্তমানে সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে এলাকার কালোবাজারিদের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন।
এ বিষয়ে দামুড়হুদার মজলিশপুর গ্রামের রুহুল আমিন মেল্ফ^ার বলেন, কপির আবাদ করতে হলে প্রথমে বীজতলায় জৈব সার দিয়ে কাজ সারলেও ওই চারা জমিতে রোপণ করার সঙ্গে সঙ্গেই দরকার হয় রাসায়নিক সার ড্যাপ ও ইউরিয়া। এমনিতে বাজারে ড্যাপ নেই। তবে কালোবাজারিদের কাছে চড়া দামে ঠিকই পাওয়া যায়। ইউরিয়া যেখানে দরকার কমপক্ষে ৬০ কেজি, সেখানে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা কার্ডে লিখছেন ৩ কেজি। মুখচেনা কারো কারো কাগজে অবশ্য লিখছেন ৩০ কেজি। এ নিয়ে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কৃষকদের বাদানুবাদ হচ্ছে হামেশাই। অন্যদিকে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার লেখার পরও ডিলারের কাছে সে মোতাবেক সার মিলছে না। পদে পদে সারের জন্য হয়রানি হতে হচ্ছে কৃষককে। এভাবে চলতে থাকলে আগাম তো দহৃরের কথা, এবার শীত মৌসুমের সবজি সরবরাহেও মারাͧক সংকট দেখা দেবে। আর বিপুলসংখ্যক কৃষক হবেন ক্ষতিগ্রস্টø।
এদিকে এলাকার অধিকাংশ কৃষকের অভিযোগ, এমনিতে ডিলারদের কাছে সার না থাকলেও প্রায় প্রতিরাতেই ট্রাক ট্রাক সার আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। ™ি^গুণ, তিনগুণ মহৃল্য হাঁকিয়ে কালোবাজারিরা সেসব সার বিত্রিক্র করছে অনন্যোপায় কৃষকদের কাছে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor