Wednesday, September 24, 2008

ব্যাংককে বাধ্যতামূলক আবর্তক শস্য ঋণ দিতে হবে

২৫.০৯.০৮
যাযাদি ডেস্ক

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্যতামূলক কৃষকদের তিন বছরের আবর্তক শস্য ঋণ দিতে হবে সিডিউল ব্যাংককে। ওই সময়ের মধ্যে ব্যাংক ঋণ পেতে কৃষকদের যাতে আর হয়রানির শিকার হতে না হয় সেজন্য এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার আজ অথবা আগামী সপ্তাহে জারি করবে।
নির্দিষ্ট জমিতে শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষক কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ বা সমম্বয় করে তিন বছর পর্যন্ত ওই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে। নতুন করে তাকে আর আবেদন করতে হবে না বা এজন্য আর কোনো কাগজপত্র দিতে হবে না।
কৃষকরা শস্য উৎপাদনের জন্য মূলত মেয়াদি ঋণ নিয়ে থাকে। শস্য উৎপাদনের পর আগের ঋণ পরিশোধ করে নতুন ঋণ পেতে আবেদন করতে হয়, এতে করে তারা নানা ঝামেলায় পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে ফসলের সময় চলে যায় কিন্তু ঋণ পায় না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে জরিপ চালিয়ে কৃষকদের মাঝে আইডি কার্ড দিয়েছে। এতে কৃষকের অবস্থা, জমির পরিমাণ, জমিতে সারাবছর কী কী ফসল উৎপাদন হয় তা লিপিবদ্ধ আছে। এ কার্ডের ওপর ভিত্তি করে এখন থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করা হবে।
চলতি অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর জন্য ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। এবার বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কৃষি ঋণ বিতরণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৫৫ শতাংশ। তবে কোনো ব্যাংকের জন্য আলাদা লক্ষ্যমাত্রা বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
১৯৯০ সালে আর্থিক খাতে সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ডিরেকটেড লেন্ডিং প্রথা বিলোপ হওয়ার পর কৃষিখাতে ঋণ দেয়া ব্যাংকগুলোর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে এ খাতে ঋণ দেয়া ব্যাংকগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক তা তদারকি করবে।
সূত্র জানায়, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে সার, বীজ, কীটনাশক, সেচসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। এ কারণে একই পণ্য চাষে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর ব্যাংকগুলো আরো ২০ শতাংশ বেশি ঋণ দিতে পারবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে ২০০৭ সালে রোপা আমন চাষে একরপ্রতি ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ২৬৭ টাকা। চলতি বছর ৯ হাজার ২৬৭ টাকা থেকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি ঋণ পাবে কৃষকরা। ব্যাংক চাইলে আরো ১০ শতাংশ বেশি ঋণ দিতে পারবে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor