Tuesday, September 16, 2008

প্রসঙ্গ কুশি ধান : লোকবিজ্ঞান ও কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতি

উপসম্পাদকীয়

১৭.০৯.০৮
।।সমকাল।। জীবনকৃষষ্ণ বিশ্বাস

কোন খেয়ালে একদিন মাকে বলেছিলামÑ কোন ধানটা খরায় ভালো হয়? আমার মা সাধারণ ঘর-গেরস্টøালি করা পরিবার থেকে আসা। আমার দিকে অবাক চোখে চেয়ে থাকলেন কিছু সময়। তারপর জবাব দিলেনÑ ‘ক্যা, নড়ই ধান’। আমি পেশাগতভাবে কখনো কখনো দেশাল ধানের মধ্য থেকে ভালো কোনো গুণ আছে, এমন কিছু জার্মপল্গাজম খুঁজে বের করার চে®দ্বা করে থাকি। আমাদের দেশে ধানের যে জাতবৈচিত্র্য আছে পৃথিবীর আর কোথাও তা নেই। আজ থেকে প্রায় ৮০-৯০ বছর আগে প্রখ্যাত ধান বিজ্ঞানী ড. জিপি হেক্টর বলেছিলেন, এ দেশে নাকি এক সময় আঠার হাজার ধানের চাষ হতো। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন¯িদ্বটিউটের এক বইয়ে ১২৮০০ ধানের তালিকা আছে। আর জার্মপল্গাজমে রক্ষিত আছে কমবেশি হাজারপাঁচেক দেশি জাতের ধান। আমার মনে হলো, নড়ই তো আউশ ধানের জাত। ডাঙায় বোনা হয়। ডাঙাতেই ভালো হয়। অতএব খরায় ভালো হবে, মায়ের এ দাবি সত্যি না হয়ে পারে না। এখন আমার কাজ তা পরখ করে দেখা। অšøত নড়ই ধানে না হোক, এর আশপাশে আরো যে ধানের লি¯িদ্ব আছে যেমন হনুমান জটা, পরাঙ্গী, কাইশাপাঞ্জা, ধারিয়াল, পানবিড়া অথবা আরো অন্য কোনো জাত থেকে। নিশ্চয়ই খুঁজে পাব খরায় টিকে থাকা গুণাগুণ। এখন পানির খুবই টানাটানি। আমাদের দরকার এমন একটি ধান যা খরা সহ্য করতে পারে। কত লোকবিজ্ঞান আমাদের চারপাশজুড়ে আছে। মরিচগাছের পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে, ছাই দেও। নারকেল গাছে ফল ধরছে না, কিছুটা জায়গা চৌক করে গর্ত করে দেও। আউশ ধানের জমির জাওলা (ধানের চারা) পাতলা দেখাচ্ছে, মই দিয়ে গোড়া থেঁতলে দেও। এগুলো নিছক কোনো গাঁজাখুরি নয়। সাধারণ মানুষদের হাজার বছরের গবেষণার ফল। মরিচের পাতা কুঁকড়ে যাওয়া ভাইরাসের কারণে হতে পারে। ভাইরাসের বাহক পোকা। ছাই দিলে পোকা আসবে না। নারকেলের গাছে অতিরিক্ত জোর (বেশি করে নাইট্রোজেন গ্রহণের ফলে বীপবংং াবমবঃধঃরাব মৎড়ঃিয হলে) গাছে ফল কম ধরতে পারে। কারণ গাছের কার্বন-নাইট্রোজেন অনুপাত ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। গাছের গায়ে চৌক গর্ত করে দিলে মাটি থেকে নাইট্রোজেন টেনে তোলায় ভাটা পড়ে। ফলে কার্বন-নাইট্রোজেন অনুপাত ব্যালেন্স হওয়ায় গাছে ফল ধরে।
কৃষি এবং লোকবিজ্ঞানের সল্ফক্সর্ক নিয়ে আরো কিছু কথা বলা যায়। ধান কেটে নিলে অবশি®দ্ব নাড়ার গোড়া থেকে কুশি গজায় আমরা সবাই জানি। এই কুশিকে মুড়ি, ডেমি বা জধঃড়ড়হ বলে। অনেকে বু™িব্দ করে এই ডেমিকে যÍুআত্তি করে কিছু ফসল ঘরে তোলার চে®দ্বা করে। ধানের ডেমি নিয়ে আমেরিকা থেকে শুরু করে পৃথিবীর নানা দেশে গবেষণা হয়েছে। ব্রির ফার্মিং সি¯েদ্বমের বিভাগীয় প্রধান ড. কুদ্দুস ওজজও’তে তার মা¯দ্বার্সের থিসিস করেছিলেন বেশ আগে। মাত্র কয়েক বছর আগে বোরো মৌসুমে আলোকসংবেদী জাতের ডেমি উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে ব্রি-বরিশাল কেন্দ্রের ড. বিলাশ চন্দ্র রায় বেশকিছু কাজ করেছিলেন। কিন্তু বোরোর পর আমন ধান হিসেবে ডেমির যুতসই প্রয়োগের সীমাব™ব্দতার কারণে এ গবেষণা আর এগিয়ে যেতে পারেনি। তবে এ প™ব্দতিকে অনেক আগে থেকেই একটি সল্ফ¢াবনাময় প্রযুক্তি হিসেবে চিšøা করা হতো। এ কারণেই এ প™ব্দতির সল্ফ¢াবনা যাচাইয়ের জন্য ভারতের বেঙ্গালুরুতে গত শতকের আশির দশকের শেষদিকে একটি ওয়ার্কশপ হয়। সেখানে উপস্ট’াপিত পেপারগুলোতে সল্ফ¢াবনার পাশাপাশি ভালোমন্দ অনেক কিছু উঠে আসে। যেমন কেবল উঁচু জমিতেই ডেমি করা সল্ফ¢ব। ডেমি রোগবালাই ও পোকামাকড়ের পোষক হিসেবে কাজ করতে পারে। ফলে পরবর্তী ফসলের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। দুই ফসলের মাঝে জমির বিশ্রামের সুযোগ থাকে না। অতএব সল্ফ¢াবনা থাকলেও এটাকে খুব একটা এগিয়ে নেওয়া সল্ফ¢ব হচ্ছিল না। ব্যাপারটা অনেক বিজ্ঞানীর জন্য মাথাব্যথার কারণ ছিল। ওজজও-র একজন গবেষণা সহকারী মি. ক্যালেন্ডাসিয়ন সহজ সরল এ প্রযুক্তিটির মাঠে মারা যাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না। তিনি একবার গ্রামে গিয়ে একটা ধানের জমি দেখে আঁতকে ওঠেন। (ফিলিপিনো চাষীরা ধান কাটে অনেকখানি নাড়া রেখে।) পাশাপাশি দু’সারি নাড়া কেউ যেন সুন্দর করে বেণি ভাঙিয়ে রেখেছে। দেখতে আকর্ষণীয়। এভাবে বেণি ভাঙানো নাড়ার গোড়া থেকে শক্তসামর্থ্য ডেমি বের হয়েছে যা সাধারণ লিকলিকে ডেমি থেকে একেবারেই ভিল্পু। ক্যালেন্ডাসিয়নের কাছে বিষয়টা অভিনব মনে হলো। তিনি খোঁজ নিয়ে জানলেন ওই বেণি ভাঙানো কারো কোনো পরিকল্কিপ্পত কিছু ছিল না। নেহাত জমির পাশের বাড়ির এক মেয়ের খেয়ালি শিল্কপ্পকর্ম। বাচ্চা মেয়ের নিজের মাথায় লল্ফ^া চুল না থাকায় ধানের নাড়াকে সে চুলের বেণিতে রূপাšøরিত করেছে। ক্যালেন্ডাসিয়নের বস ছিল ড. গ্যারিটি, ওজজও-র গঁষঃরঢ়ষব পৎড়ঢ়ঢ়রহম ফরারংরড়হ-এর বিজ্ঞানী। পরে তারা একসঙ্গে কয়েক বছর ধরে এ নিয়ে গবেষণা করেন। তারা এ প™ব্দতিকে লক-লজিং (খড়পশ ষড়ফমরহম) বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। এ প™ব্দতিতে কেন ভালো ডেমি হচ্ছে সে কারণও তারা বের করলেন। তারা দেখলেন, গোড়া থেঁতলে যাওয়ার কারণে নাড়ার একেবারে গোড়া থেকে শক্ত-সামর্থ্য ডেমি বের হয়। আর সাধারণ অবস্ট’ায় ডেমি হয় নাড়ার উপরের দিকে। ফলে এ ডেমিগুলো হয় লিকলিকে এবং দুর্বল। কিছু কৃষিতাত্ত্বিক বিষয়ও বের করার চে®দ্বা করলেন যাতে লক-লজিংয়ের ডেমিগুলো আরো ভালো হয়। তারা হাত দিয়ে বেণি বানানোর পরিবর্তে প্রকৌশলীদের দিয়ে যšú পর্যšø বানিয়ে নিয়েছিলেন। ওজজও-তে থাকার সুবাদে ক্যালেন্ডাসিয়নের সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কথা হয়েছে। লক-লজিং কার্যত্রক্রমের স্টèাইডগুলো আমি দেখেছি। প্রধান ফসলের পর লক-লজিং করে আরেকটি ফসল ঘরে আনতে ৭৫ দিন সময় লেগেছিল। আর ফলন, প্রধান ফসলের কাছাকাছি ছিল। আমার এক সহপাঠীকে (বর্তমানে পাকিস্টøানের সিল্পব্দু প্রদেশের টান্ডুজাম কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফতেচাঁদ ওড) তার পিএইচডি গবেষণা কাজের জন্য বিষয়টিকে বেছে নিতে বলি। ফতে সেইমতো কাজ করে। তার পিএইচডির বিষয় ছিল এ প্রযুক্তির উল্পুয়ন। ফলাফল ছিল আশাপ্রদ। কিন্তু তার কাজের দৌড় ছিল থিসিস পর্যšø। পাকিস্টøানে ধানের কদর গমের মতো না। সে কারণেই হয়তো এ কাজে পরে সে আর আগ্রহ পায়নি।
দুঃখের বিষয়, পরে ডেমির মতোই লক-লজিংয়ের ভাগ্য একই পরিণতি বরণ করে বলে মনে হয়। ড. গ্যারিটি এক সময় ওজজও ছেড়ে চলে যান। মি. ক্যালেন্ডাসিয়ন একা এ প্রযুক্তি নিয়ে আর এগোতে পেরেছিলেন বলে শুনিনি। আমার ইচ্ছা ছিল এ বিষয় নিয়ে কিছু কাজ করার। কিন্তু আমার তখনকার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বোঝাতে পারিনি। এরপর ব্রির আঞ্চলিক কার্যালয় হবিগঞ্জে গিয়ে কিছু একটা করার চে®দ্বা করেছিলাম। কিন্তু বোরোর পরে বন্যার পানি চলে আসায় পরীক্ষাটি শেষ করা যায়নি।
লোকবিজ্ঞানের সাল্ফপ্রতিক একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ২০০৭-এ বাংলাদেশের হাওর এলাকাসহ আগাম লাগানো অনেক এলাকার বোরো ধান ঠা-ায় আত্রক্রাšø হয়ে চিটা হয়ে যায়। সে সময় হাওর এলাকায় দেখেছিলাম চিটা ধানের জমিতে গরু চরতে। ঢাকার রূপগঞ্জ এলাকায়ও এমনিভাবে ধান চিটায় আত্রক্রাšø হয়। সেখানে অনেক চাষীকে দেখেছিলাম কিছুটা নাড়া রেখে ধানের গাছ কেটে ফেলছে। অর্থাৎ ডেমির প্রস্ট‘তি চলছে। জাতটা ছিল ব্রি-ধান২৮। আমি জানতাম, এ জাতের ডেমি তৈরির উপযোগিতা যথে®দ্ব। ওইসব চাষীর উপস্টি’ত বু™িব্দর প্রশংসা না করে পারিনি।
ডেমি নিয়ে কিছু একটা হতে পারে তা আর কোনোদিন ভাবতে চাইনি। কিন্তু তার ব্যত্যয় ঘটল সাল্ফপ্রতিক একটা সাফল্যগাথা সমকাল পত্রিকায় দেখে। আরডিআরএসের মৃণ¥য় গুহ নিয়োগী (এমজি নিয়োগী) এর নায়ক। তার কাজের ভঙ্গি একটু ভিল্পুধর্মী। মঙ্গা প্রশমনের জন্য ব্রি ধান৩৩ নিয়ে প্রথম তিনিই মাঠে নেমেছিলেন। সেটা ২০০৩-এর কথা। ওজজও-র প্রতিনিধি ড. জয়নাল আবেদীন তার সাক্ষী। ব্রির রংপুরের ড. মজিদও সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু মৃণ¥য় নিয়োগীর এই প্রথম ভূমিকা কারো মনে আছে কি-না কে জানে? তিনি আবার ডেমি ধানের পরিবর্তিত প্রযুক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তার কোনো ল্যাবরেটরি নেই। কোনো ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই। মাঠই তার ল্যাব, চাষীরাই তার কুশি প্রযুক্তির কুশীলব। তার এ প্রযুক্তি বোরো এবং আমনের মাঝের সময়টা কাজে লাগানোর প্রযুক্তি। গরিব চাষী বোরো ধান ঘরে ধরে রাখতে পারে না। উঠতে উঠতেই বেচা-বণ্টন শেষ। আবার আমন আসতেও বেশ দেরি। মাঝে মঙ্গার ধাক্কা। তাই বোরোর কুশি দিয়ে অল্কপ্প সময়ে কিছু ধান তো আগাম ঘরে তোলা যায়। পরে আবার একটু দেরি হলেও ব্রি ধান৪৬ বা ব্রি ধান৩৩ লাগিয়ে সময়টাকে কভার করে আমন ফসলও ঘরে তোলা সল্ফ¢ব। মৃণ¥য় নিয়োগী যেটা করেছেন তা হলো পরিমার্জন-পরিবর্ধন করে যাদের প্রযুক্তি তাদের কাছেই আবার ফিরিয়ে দিয়েছে। এ কাজেও ঝুঁকি আছে। বোরো হিসেবে তিনি হাইব্রিড ধান ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এখন পর্যšø হাইব্রিড শুধু অনুকূল পরিবেশের জন্য উপযুক্ত। হাইব্রিডের রোগবালাই সহনশীল জাত মাঠ পর্যায়ে নেই। তাই পরিচর্যার ব্যাপারে আরো কিছু কাজ করার দরকার আছে বলে মনে হয়। তবে মৃণ¥য় নিয়োগী সাবধানতার কথাও বলেছেন। কুশির জমি রোগবালাইয়ের পোষকভূমি হিসেবে কাজ করতে পারে। তাই প্রথম বছর এ প™ব্দতিতে চাষ করার পর পরের বছর ফসলত্রক্রমে পরিবর্তন আনার কথা বলেছেন। আমি মনে করি, এখনই তার পরিতৃপ্টিøর ঢেঁকুর তোলার সময় না। এ প্রযুক্তি নিয়ে আরো অনেক কিছু ভাবার আছে। এ প™ব্দতিতে এক জায়গার কুশি আরেক জায়গায় লাগানো হয়। যেহেতু ফসলের জন্য সময় কম, তাই কুশিগুলো একটু সুস্ট’ সবল হলে ভালো হয়। লক লজিং প™ব্দতিতে সুস্ট’ সবল কুশি বানানো সল্ফ¢ব। এজন্য হয়তো কিছুটা উপর থেকে ধান কেটে জমিতে বেণি তৈরি করে রাখা যেতে পারে। বেণি বানানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ধান গাছের গোড়াগুলো কিছুটা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তাহলেই যথে®দ্ব পরিমাণ ভালো চারা পাওয়া সল্ফ¢ব। আমার বিশ^াস, মৃণ¥য় নিয়োগী তার পরের যাত্রা এভাবেই শুরু করবেন।
বোরো-রোপা আমন ফসলত্রক্রমের তুলনায় পরিবর্তিত ফসলত্রক্রম হবে বোরো-কুশি-নাবি রোপা আমন। পরিবর্তিত এই ফসলত্রক্রম পরিবেশ, মাটির স্ট^াস্ট’্য এবং অর্থনৈতিকভাবে কতখানি মানানসই তাও খতিয়ে দেখা দরকার। প্রত্যেক চাষী একেকজন উঁচুমাপের মাইত্রেক্রা ইকোনমি¯দ্ব। বলা যায়, লোকবিজ্ঞানের সহৃত্র
ধরেই তারা এটা কয়েক বছরে যাচাই-বাছাই করে নিতে পারবে।
লেখক : প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ ধান
গবেষণা ইন¯িদ্বটিউট

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor