Saturday, September 20, 2008

কৃষি ও কৃষকের সুখবর কোথায়

২১.০৯.০৮
অন্যস্বর
ডেসটিনি ।। ইয়াসরেমিনা বেগম সীমা

বাজেটে কৃষি ও কৃষকের জন্য তেমন কোনো সুখবর থাকে না। যা থাকে তা নেতিবাচক এবং হতাশা ও দুশ্চিন্তা ছাড়া কৃষককে কিছুই দিতে পারে না। বিগত বাজেট ঘোষণার পরপরই দ্বিগুণ করা হয় সারের দাম। এ নিয়ে কৃষকের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে সারের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভের সময় পুলিশের হাতে কৃষক গ্রেফতার হয়েছে। এর পরপরই ডিজেলের দাম ৪০ শতাংশ বাড়ানো হলো, ফলে পরিবহন ব্যয় বাড়ল। এতে বাড়বে বীজের দাম, উৎপাদন খরচ হয়ে যাবে দ্বিগুণেরও বেশি। এ খবর হজম হওয়ার আগেই গত ৭-৭-০৮ তারিখে দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক ইত্তেফাক খবর ছাপে ‘পাঁচবিবিতে ঋণের দায়ে কৃষক গ্রেফতার’। পরের দিন ভোরের কাগজে এর ওপর সম্পাদকীয় ছাপে ‘কোমরে রশি বেঁধে কৃষিঋণ আদায়’। খবরে জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কৃষক তোফাজ্জেল হোসেনকে মাত্র ৩ হাজার টাকা কৃষিঋণ খেলাপের দায়ে দাগী আসামির মতোই সার্টিফিকেট মামলায় পুলিশ আদালতে নিয়ে গেছে। খবরটি অবশ্য দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকা ছাপে ১৪ জুলাই। আইন তার নিজের গতিতে চলবে এটা যেমন ঠিক তেমনি মাত্র ৩ হাজার টাকা খেলাপীর দায়ে একজন কৃষককে প্রকাশ্যে কোমরে দড়ি বেঁধে দাগী আসামির মত রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তা অবশ্যই দেশের বিবেকবান মানুষের চিন্তার খোরাক জোগাবে। কৃষিঋণ পেতে একজন কৃষককে কি পরিমাণ হয়রানির স্বীকার হতে হয় তা পত্রিকায় প্রায় নিয়মিত দেখা যায়। ৩ হাজার টাকা কৃষিঋণ ওঠাতে গিয়ে বিভিন্ন জনকে কম করে এক হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়, এর মধ্যে থাকে মধ্যস্বত্বভোগী, ফড়িয়া, দালাল থেকে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা পর্যন্ত। অথচ এই দেশে কত লোক যে আছে তারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপী হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা তো দূরের কথা টু-শব্দটি পর্যন্ত হচ্ছে না। কারণ তাদের টেলিফোনের জোর আছে, আছে কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্ট করার ক্ষমতা। সাধারণ কৃষকের তা থাকে না বলেই নামমাত্র ঋণের কারণে তাদের সমাজে অপমানিত হতে হচ্ছে। ১৫-৭-২০০৮ তারিখে জানা গেল দৈনিক ডেসটিনিতে খবর দেখে সেনাপ্রধান ৭ হাজার ৩০ টাকা তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দিয়ে কৃষক তোফাজ্জেলকে জেল থেকে মুক্ত করেছেন। কথা হলো ডেসটিনিতে ছাপা হওয়ার কম করে এক সপ্তাহ আগে খবরটি দুইটি জাতীয় পত্রিকায় ছাপা হলেও কর্তৃপক্ষের নজরে কেন এল না? কেন এক সপ্তাহ একজন নিরীহ অসহায় কৃষককে হাজতবাস করতে হলো? কেন তার পরিবারকে রাখা হলো চরম মানসিক দুশ্চিন্তার মধ্যে? এ ছাড়া খবরটি জানার পর পাঁচবিবি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও জয়পুরহাট জেলার জেলা প্রশাসক কী করছিলেন। তাদের কি কোনো দায়িত্ব ছিল না? প্রত্যেক উপজেলা ও জেলায় কল্যাণ তহবিল আছে সেখান থেকে কি ৭ হাজার টাকা খরচ করা যেত না? এ ক্ষেত্রে তারা কার স্বার্থ দেখছিলেন তা অবশ্য জানা যায়নি।
মানবজমিনে ৯-০৭-০৮ তারিখে খবর এসেছে ভেজাল ও নকল সারে সয়লাব দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। খবরে বলা হয়েছে যশোর ও তার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের জেলাগুলোতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে প্রায় ৫ হাজার নকল সার কারখানা। গ্রাম্য পরিবেশে গড়ে ওঠা এসব অনুমোদনহীন ফ্যাক্টরিতে তৈরি হচ্ছে টিএসপি, এমওপি, ঢ্যাপ, দস্তা, বোরন, গুটি ইউরিয়াসহ কমপক্ষে ৮-১০ রকমের সার। উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটার পোড়া কালোমাটি, সাভারের লাল মাটি, চুনাপাথর, এক প্রকার মেলামাইন ডাস্ট, সিরামিক ফ্যাক্টরির গুঁড়া, পোড়া মবিল, সালফিউরিক এসিড ও আলকাতরা। প্রয়োজনীয় সারের সরবরাহ না থাকায় কৃষক এসব সার কিনতে বাধ্য হচ্ছে। যশোরের নওয়াপাড়া ওই অঞ্চলের বৃহত্তম সারের মোকাম। সরকারি বাফার স্টক ছাড়াও নওয়াপাড়াকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শতাধিক সার ব্যবসায়ীর কারবার। আর এই অঞ্চলের গোটা সারের বাজার নিয়ন্ত্রণ হয় এই নওয়াপাড়াকে ঘিরে। দফায় দফায় সারের দাম বৃদ্ধির কারণে নওয়াপাড়ায় গড়ে উঠেছে একাধিক সার সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সহায়তায় এ অঞ্চলে চলছে নকল ও ভেজাল সারের রমরমা ব্যবসা।
দৈনিক যায়যায়দিন ১৪-০৭-০৮ তারিখে খবর ছেপেছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী রাজশাহীর বিভিন্ন হাটবাজারে নিষিদ্ধ কীটনাশক ও জৈবসার বিক্রি করছে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর ও মৃত্তিকা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট থেকে প্রায় দুই বছর আগে নিম্নমানের সার ও কীটনাশক বিক্রি না করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় থেকেও এসব সার ও কীটনাশক বিক্রি করতে নিষেধ করা হলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছে না। তা ছাড়া অনেক কৃষকই জানে না কি জাতীয় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের ঠকিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওইসব অসাধু ব্যবসায়ী। অন্যদিকে এসব সার ও কীটনাশক জমিতে ব্যবহার করার পর দেখা যাচ্ছে ফসলের ফলন কমছে কিংবা পোকা বা মাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না, তখন মাথায় হাত দেয়া ছাড়া কৃষকের আর কিছুই করার থাকছে না। যায়যায়দিন ০৯-০৭-০৮ তারিখে ছেপেছে শ্রীমঙ্গলে সার কিনতে এসে কৃষকের খেদোক্তি, পয়সা দিয়ে সার কিনতে এসে পুলিশের লাঠির বাড়ি খেলাম।
দৈনিক নয়া দিগন্ত ১০-০৭-০৮ তারিখে ছেপেছে চুয়াডাঙ্গায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হওয়ায় চলতি মৌসুমে সেখানে মিষ্টি কুমড়া পানির দরে বিক্রি হচ্ছে। ৪-৫ কেজি ওজনের একটি কুমড়া পাওয়া যাচ্ছে ৬-৭ টাকায়। এতে প্রায় ১০ হাজার কৃষক মহাবিপাকে। না উঠছে আবাদ খরচ না পাচ্ছে পরিশ্রমের দাম। এক বিঘা আবাদে ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-২০০০ টাকায়। গত বছর যে কুমড়া ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকায়। এ ছাড়া প্রায় প্রতিটি পত্রিকায় প্রতিদিন খবর আসছে সার সংকটের কারণে আমন উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। দৈনিক যায়যায়দিন ০২-০৭-০৮ তারিখে কৃষিবিদ মনির উদ্দিন লিখেছেন গুটি ইউরিয়া প্রযুক্তি চক্রান্তের বেড়াজালে অসৎ ব্যবসায়ীরা চায়না গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার বাড়–ক। এ ছাড়া বীজ কিনেও প্রতারিত হচ্ছে কৃষক। বীজে গাছ হচ্ছে কিন্তু ফল হচ্ছে না এ ধরনের খবরও পত্রিকায় আসছে। ১৭-৭-০৮ তারিখে দৈনিক সংবাদ লিখেছে ঋণ খেলাপি কৃষকদের নতুন ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচনা করে ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নয়া কৃষিঋণ নীতিমালা জারি করেছে। ১৩ জুলাই জারি করা এ নীতিমালা ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে সিডর ও বন্যার কারণে খেলাপী ঋণ গ্রহীতাদের ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই পুনঃতফসিল করে নতুন ঋণ দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। তবে এবার ঋণখেলাপীদের নতুন ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করায় সরকারের কৃষিঋণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ ভেস্তে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে কৃষকদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৮০ ভাগই খেলাপী ঋণ গ্রহীতা। এতে করে দাদন ব্যবসায়ীদের পোয়া বারো হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ২০-০৭-০৮ তারিখে দৈনিক খবরপত্র ছেপেছে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানায় প্রশিকার ঋণ পরিশোধ না করার মামলায় ৩ কৃষক গ্রেফতার, ১২ জন পলাতক। এ রকম খবর প্রায় প্রতিদিনই আসছে।
দিনাজপুরের চেরাডাঙ্গীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন কৃষাণ কৃষাণীরা দেশের সবচেয়ে বড় নায়ক। তিনি বলেছিলেন কৃষি ও কৃষকের উন্নতির জন্য তার সরকার যা কিছু প্রয়োজন তাই করবে। কৃষি উৎপাদনের অপরিহার্য উপাদান সারের আকস্মিক ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষকদের মধ্যে দারুণ হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সারের দাম বাড়ানোর বিভিন্ন কারণ ব্যাখ্যা এবং কিছু আশারবাণী দেয়া হয়েছে বটে কিন্তু তাতে কি কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় সামান্যতম কমবে? যে কোনো ফসলই সার ও সেচের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল যা কৃষককে উচ্চ দামে ক্রয় করতে হয়। তা ছাড়া অন্যান্য কৃষি উপকরণ ও সেচ ব্যবস্থার ব্যয় বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সংকটে কৃষককে সারাক্ষণই নাজেহাল হতে হচ্ছে। ফলে কৃষককে চরম অর্থ সংকটে পড়ে প্রতিনিয়তই ঋণগ্রস্ত হতে হচ্ছে। এ সুযোগ নিচ্ছে এলাকার মহাজন ও সুদখোর দাদন ব্যবসায়ীরা। আর বর্তমান নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে মধ্যবিত্ত মানুষ পর্যন্ত নিষ্পেষিত, কৃষকের কথা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। গত মাসের বাজেট ঘোষণার পর পরই চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজারে আরও একধাপ উত্তাপ ছড়িয়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ফসল উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। বছর শেষে কৃষকের বেতন যেমন বাড়ে না তেমনি কৃষিকাজ থেকে অবসর নিলে তাদের জন্য এমন কোনো ব্যবস্থা নেই যে তারা স্বস্তিতে দুবেলা দুমুঠো খেতে পারবে। আমাদের দেশে কৃষকের অবস্থা ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’র মতো। মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে হোক জমির সম্ভাব্য ফসল বন্ধক রেখে কোনোভাবে টাকা জোগাড় করে সার, বীজ কিনে ফসলের জমিতে দিলে তা যদি জমির উর্বরতা নষ্ট করে, কষ্টের আবাদী ফসলে যদি বীজ না হয়, তারপর সেই কৃষককে যদি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে জেলে যেতে হয় তবে এর চেয়ে অমানবিক সংবাদ আর কি হতে পারে?
বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কৃষি ও কৃষকের উন্নতি ব্যতীত দেশের অগ্রগতি আশা করা যায় না। আর এ জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উন্নতমানের সার, বীজ সরবরাহ করা। কৃষক যাতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় তার জন্য বাজারজাতকরণে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। বিনা উপদ্রবে কৃষিপণ্য বাজারজাত করণে রাষ্ট্রীয়ভাবে কৃষিপণ্য পরিবহন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা দরকার অথবা কৃষিপণ্যবাহী যানবাহনের সব ধরনের টোল মওকুফ করতে হবে। সমবায়ে কৃষককে উৎসাহিত করতে হবে। ভেজাল ও নকল সার, বীজ ও কীটনাশক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিএসটিআই-এর অনুমোদনবিহীন কোনো উৎপাদন সহায়ক দ্রব্য যাতে বাজারে না আসে তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশের বেশির ভাগ ফসল উৎপাদিত হয় বর্গাচাষির হাত দিয়ে। তাদের সংখ্যা কত? সরেজমিনে বর্গা চাষিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, জমি না থাকার কারণে তারা কৃষি ঋণ ও সারের ভর্তুকি পায় না। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ায় এদের বিভিন্ন এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীর দারস্থ হতে হয়। ফলে এরা সারা জীবন শুধু ফসল উৎপাদন করে যায় তা ভোগ করার সুযোগ এদের থাকে না। ফলে এদের ছেলেমেয়েরা অর্থাভাবে ঠিকমত লেখাপড়াও করতে পারে না। বর্গাচাষি যাতে রাষ্ট্রীয় কৃষি সহায়তা পায় তার ব্যবস্থা সরকারকেই গ্রহণ করতে হবে। প্রকৃত কৃষক ও বর্গা চাষিদের ছেলেমেয়েদের জন্য কৃষি বৃত্তি চালু করা যেতে পারে অথবা তারা যাতে বিনা বেতনে লেখাপড়া করার সুযোগ পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় কৃষি ও কৃষকের জন্য সুখবর কোনোভাবেই শোনা সম্ভব হবে না। কৃষি ও কৃষকের সুখবরের জন্য আমরা সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী কৃষিবান্ধব পদক্ষেপই প্রত্যাশা করি। কারণ রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে বর্গাচাষি ফসল উৎপাদন করে তাদের সুখবর যতদিন পত্রিকায় না আসবে ততদিন জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি কিভাবে আসবে তা অবশ্যই ভাবনার বিষয়। *

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor