Saturday, September 20, 2008

রংপুরে পাট কেনায় সাড়া নেই

২০.০৯.০৮
।।যায়যায়দিন।। রংপুর প্রতিনিধি

রংপুরে পাট কেনায় তেমন একটা সাড়া মিলছে না। অথচ প্রতিদিনই পাওনা টাকা আদায়ে ব্যবসায়ীরা পাট কেন্দ্রগুলোতে ধর্না দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে পাট সরবরাহ করবেন না। তবে কেউ কেউ পাওনা আদায় না করেই পাট সরবরাহ করলেও তাও যৎসামান্য।
বিজেএমসির আওতায় রংপুরে দুটি পাট ক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। রেলওয়ে স্টেশনের সামনের এ দুটি পাট কেন্দ্রের একটি ক্রিসেন্ট জুট মিলস ও অপরটি আমিন জুট মিলসের। এবার ক্রিসেন্ট জুট মিলে পাট ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ হাজার কুইন্টাল। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত পাট কেনা হয়েছে ৪ হাজার ৭শ’ কুইন্টাল।
সরেজমিন রংপুরের হাট বাজারগুলোতে দেখা গেছে, গতবারের চেয়ে এবারে পাটের দাম বেশি। কৃষি অফিস জানায়, উৎপাদন কম হওয়ায় পাটের দাম বেড়েছে। এবার প্রতি মণ পাট জাতি ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত। আর তোষা ৯২০ থেকে ১ হাজার টাকা। এজন্য ক্রয় কেন্দ্রগুলোতেও প্রতি কুইন্টাল তোষা ২ হাজার ৩৫০ এবং জাতি ২ হাজার ১৭৫ টাকা এবার মূল্য নির্ধারণ করেছে বলে ক্রয় কেন্দ্র সূত্র জানায়। যা গতবার ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কুইন্টাল প্রতি কম ছিল।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রংপুর ক্রিসেন্ট জুট মিলসে ১০ জন পাট ব্যবসায়ীর প্রায় ১ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। প্রতিবারই তাদের পাট কেনার আগে কিছু কিছু পাওনা পরিশোধ করা হয়ে থাকে। এবার এখন পর্যন্ত হয়নি। এজন্য পাট কেনায় মন্দাভাব রয়েছে।
পাওনাদার আরব আলী জানান, ৩০ বছর ধরে ক্রিসেন্ট জুট মিলসে পাট সরবরাহ করছেন। কিন্তু সময় মতো তাদের পাওনা পরিশোধ না হওয়ায় তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এজন্য বকেয়া টাকা না পেলে তিনি এবার পাট সরবরাহ করবেন না বলে জানান। তিনি দাবি করেন ক্রিসেন্ট জুট মিলসের কাছে গতবারের ৩৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। তার মতো শাহজালাল লাভলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান, ইলিয়াস আহমেদ, মাহবুবার রহমান, মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ একই সমস্যা তুলে ধরেন। ক্রিসেন্ট জুট মিলসের পার্চেজ কর্মকর্তা মিয়া এখলাস উদ্দিন জানান, সরকার সময় মতো অর্থ জোগান দিলে পাট ক্রয়ে সমস্যা হতো না।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor