Wednesday, September 17, 2008

আপদকালীন ধানচাষ জনপ্রিয় হচ্ছে মাগুরার কৃষকরা এবার ৫০ হাজার টন অতিরিক্ত ধান ঘরে তুলবে

১৮.০৯.০৮
।।সমকাল।। মাগুরা প্রতিনিধি

আউশ ধান কাটার পরে জমি ফেলে না রেখে আপতকালীন ধানের আবাদ মাগুরায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গত বছর সেখানে কিছু জমিতে পরীক্ষামহৃলকভাবে এ ধানের চাষ করা হয়েছিল। এ বছর সেখানে অতিরিক্ত ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এতে ওই এলাকার কৃষকরা ৫০ হাজার ম্যাট্রিক টন ধান ঘরে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবাদকৃত ধানের মধ্যে রয়েছে বিরি-২৮, সোনার বাংলা, রÍুা জাতের বিভিল্পু ধান। এছাড়া দেশি জাতের পরাঙ্গী, নড়ই, সোনাই মুড়িসহ বেশ কিছু জাতের ধান লাগিয়েছিল কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ গত আউশ মৌসুমে জেলার ৪ উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। আউশ মৌসুম শেষে সেখানে ১৩ হাজার হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে এ ধান চাষ করা হয়। হেক্টরপ্রতি যার ফলন হয়েছে সাড়ে ৪ ম্যাট্রিক টন করে। এই ১৩ হাজার হেক্টর অতিরিক্ত জমি থেকে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার ম্যাট্রিক টন অতিরিক্ত ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে যাচ্ছে, যা দেশে খাদ্য ঘাটতি পহৃরণে সহায়ক হবে বলে কৃষি বিভাগের অভিমত।
জুলাইয়ের প্রথম দিকে আবাদকৃত এ ধান ইতিমধ্যে পাক ধরেছে এবং অধিকাংশ ক্ষেতের ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। এ ধান চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ইরি, বোরো, আউশ চাষের পরপরই এটির আবাদ করা যায়। আবহাওয়া অনুকহৃলে থাকার কারণে জমিতে সেচ দিতে হয় না। শুধু যৎসামান্য সার প্রয়োগ করতে হয়। এছাড়া বোনা ও রোপা দুই প™ব্দতিতেই এ ধান চাষ করা যায়। ফলে কৃষকের লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।
সদর উপজেলার সিতারামপুর গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন জানান, আউশ চাষের পর আমাদের মাঠের অধিকাংশ জমি আড়াই-তিন মাস পতিত পড়ে থাকে। এ সময় এই ধান চাষ করে অতিরিক্ত একটি ফসল ঘরে তোলা সল্ফ¢ব।
শিমুলিয়া গ্রামের রজব আলী মোল্কèা জানান, গত বছর পরীক্ষামহৃলকভাবে অল্কপ্প জমিতে এ ধান চাষ করে সফল হয়েছিলেন। এ বছর তিনি ২ একর জমিতে ধান চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে। অপর কৃষক তারিক মোল্কèা জানান, তিনি ৪৬ শতক জমিতে ধান করেছেন। ইতিমধ্যে তার পাকা ধান ঘরে উঠেছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও যশোরে অল্কপ্প পরিসরে এ ধান চাষ শুরু হয়েছে। আপতকালীন সারা দেশে এ ধান চাষ করা সল্ফ¢ব হলে দেশের কৃষকরা অত্যšø লাভবান হবেন।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor