Saturday, September 13, 2008

দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুমির চাষে সাফল্য

১৪.০৯.০৮
।।ইত্তেফাক।। মাটি ও মানুষ

জলজ প্রাণীর মধ্যে প্রচণ্ড শক্তিধারী কুমির এতে কোন সন্দেহ নেই। শিকার ধরাতে এরা দারুণ পটু ও কৌশলী। কুমির বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরের কামড়ের ওজন কমপক্ষে ১০ টন, আর ধারালো দাঁত ইস্পাতের ছুরির মত শক্ত। নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে এই জলজ প্রাণীটি চোখে দেখেই আমরা মজা পাই চিড়িয়াখানায় কিংবা পার্কে।

হিংস্র এই কুমিরকে বশে আনাই যেখানে দুরূহ একটি বিষয় সেখানে কুমির চাষ করে বহুমুখি সাফল্য অর্জন অলিক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু কুমিরের গোটা জীবনচক্র রপ্ত করে একে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আনার ব্যাপারটি দুঃসাহসিক ও ব্যতিক্রম। কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এ কাজটি করে চলেছে। বিশেষ করে জোরেশোরে চলছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে।

আমাদের বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় হাতির বেড় নামক গ্রামে চার-পাঁচ বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে কুমিরের বাণিজ্যিক উৎপাদন। সুন্দরবনের বাইরে দক্ষিণ এশিয়ায় কুমিরের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড। এখানে রয়েছে ৬৭টি পূর্ণবয়স্ক ও প্রজননক্ষম কুমির। ১৫ একর জমির ৩২টি পুকুরে রয়েছে কুমিরগুলো। শুধু তাই নয় এখানে আরও রয়েছে কুমিরের বিভিন্ন বয়সী ২৬৯টি ছানা। বিশেষ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বড় হচ্ছে ছানাগুলো। গত বছরের ১৪১টি ছানার মধ্যে এ পর্যš- টিকে যাওয়া ১৩৯টি ছানা এখন লম্বা প্রায় ৫ ফুটের কাছাকাছি। কুমির লালন পালন, ডিম সংগ্রহ, ছানা ফোটানো এবং ৫ ফুট লম্বা ছানার দেহের প্রতিটি অংশ ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করাই খামারের মূল উদ্দেশ্য। আর ডিম ফোটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই বাণিজ্যিক সাফল্যের প্রথম ধাপ।

আশার কথা হল, কিছুদিনের ভেতরেই বাংলাদেশের রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড কুমিরের মাংস ও দেহের বিভিন্ন অংশসহ বছরে ১ হাজার কুমির রফতানি করতে সক্ষম হবে।

কুমির উৎপাদনে মূল সাফল্য নির্ভর করে ছানা ফুটানোর ওপর। কতটি ডিম থেকে কতটি ছানা ফুটছে এই হিসাবটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কুমির ছানাকে যতই গৌণ করে উচ্চারণ করা হোক না কেন, খামারে জন্ম নেয়া একটি কুমিরছানা মানেই লাখ টাকার হিসাব।

রেপটাইলস ফার্মের ইনক্যুবেটরে দ্বিতীয়বারের মত ছানা ফোটাতে ডিম স্থাপন শুরু হয়েছিল চলতি বছরের গত ১৭ এপ্রিল। প্রথম সারিতে ছিল ৩৫টি উর্বরা ডিম। অপেক্ষার ৮৮দিন শেষ হয়ে ২২টি সুস্থ কুমিরছানা ডিম ভেঙ্গে বের হয়ে আসে আলো বাতাসে। এবার কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য ৬ শতাধিক উর্বরা ডিম থেকে এ পর্যš- সংগ্রহ করেছে ১৩০টি ছানা। চালু রয়েছে তাদের ছানা উৎপাদন কার্যক্রম। ফার্মটি আশা করছে তিন থেকে সাড়ে ৩০০ ছানা পাওয়া যাবে এবার। ইতোমধ্যেই খামারের ৫৪ মা কুমিরের ২১টি দিয়েছে ৯৪১টি ডিম। যার মধ্যে উর্বরা ডিম পাওয়া গেছে ৫৯৬টি। আর এ বছর ছানা উৎপাদন চলবে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যš-।

উপমহাদেশে প্রথম কুমির চাষের এই বাণিজ্যিক উদ্যোগ নিয়ে হৃদয়ে মাটি ও মানুষে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রয়েছে পুর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন। - মাটি ও মানুষের কৃষি ডেস্কজলজ প্রাণীর মধ্যে প্রচণ্ড শক্তিধারী কুমির এতে কোন সন্দেহ নেই। শিকার ধরাতে এরা দারুণ পটু ও কৌশলী। কুমির বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরের কামড়ের ওজন কমপক্ষে ১০ টন, আর ধারালো দাঁত ইস্পাতের ছুরির মত শক্ত। নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে এই জলজ প্রাণীটি চোখে দেখেই আমরা মজা পাই চিড়িয়াখানায় কিংবা পার্কে।

হিংস্র এই কুমিরকে বশে আনাই যেখানে দুরূহ একটি বিষয় সেখানে কুমির চাষ করে বহুমুখি সাফল্য অর্জন অলিক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু কুমিরের গোটা জীবনচক্র রপ্ত করে একে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আনার ব্যাপারটি দুঃসাহসিক ও ব্যতিক্রম। কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এ কাজটি করে চলেছে। বিশেষ করে জোরেশোরে চলছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে।

আমাদের বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় হাতির বেড় নামক গ্রামে চার-পাঁচ বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে কুমিরের বাণিজ্যিক উৎপাদন। সুন্দরবনের বাইরে দক্ষিণ এশিয়ায় কুমিরের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র এই রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড। এখানে রয়েছে ৬৭টি পূর্ণবয়স্ক ও প্রজননক্ষম কুমির। ১৫ একর জমির ৩২টি পুকুরে রয়েছে কুমিরগুলো। শুধু তাই নয় এখানে আরও রয়েছে কুমিরের বিভিন্ন বয়সী ২৬৯টি ছানা। বিশেষ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বড় হচ্ছে ছানাগুলো। গত বছরের ১৪১টি ছানার মধ্যে এ পর্যš- টিকে যাওয়া ১৩৯টি ছানা এখন লম্বা প্রায় ৫ ফুটের কাছাকাছি। কুমির লালন পালন, ডিম সংগ্রহ, ছানা ফোটানো এবং ৫ ফুট লম্বা ছানার দেহের প্রতিটি অংশ ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করাই খামারের মূল উদ্দেশ্য। আর ডিম ফোটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই বাণিজ্যিক সাফল্যের প্রথম ধাপ।

আশার কথা হল, কিছুদিনের ভেতরেই বাংলাদেশের রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড কুমিরের মাংস ও দেহের বিভিন্ন অংশসহ বছরে ১ হাজার কুমির রফতানি করতে সক্ষম হবে।

কুমির উৎপাদনে মূল সাফল্য নির্ভর করে ছানা ফুটানোর ওপর। কতটি ডিম থেকে কতটি ছানা ফুটছে এই হিসাবটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কুমির ছানাকে যতই গৌণ করে উচ্চারণ করা হোক না কেন, এই খামারে জন্ম নেয়া একটি কুমিরছানা মানেই লাখ টাকার হিসাব।

রেপটাইলস ফার্মের ইনক্যুবেটরে দ্বিতীয়বারের মত ছানা ফোটাতে ডিম স্থাপন শুরু হয়েছিল চলতি বছর গত ১৭ এপ্রিল। প্রথম সারিতে ছিল ৩৫টি উর্বরা ডিম। অপেক্ষার ৮৮দিন শেষ হয়ে ২২টি সুস্থ কুমিরছানা ডিম ভেঙে বের হয়ে আসে আলো বাতাসে। এবার কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য ৬ শতাধিক উর্বরা ডিম থেকে এ পর্যš- সংগ্রহ করেছে ১৩০টি ছানা। চালু রয়েছে তাদের ছানা উৎপাদন কার্যক্রম। ফার্মটি আশা করছে তিন থেকে সাড়ে ৩০০ ছানা পাওয়া যাবে এবার। ইতোমধ্যেই খামারের ৫৪ মা কুমিরের ২১টি দিয়েছে ৯৪১টি ডিম। যার মধ্যে উর্বরা ডিম পাওয়া গেছে ৫৯৬টি। আর এ বছর ছানা উৎপাদন চলবে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যš-।

উপমহাদেশে প্রথম কুমির চাষের এই বাণিজ্যিক উদ্যোগ নিয়ে হৃদয়ে মাটি ও মানুষে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রয়েছে পুর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন। - মাটি ও মানুষের কৃষি ডেস্কজলজ প্রাণীর মধ্যে প্রচণ্ড শক্তিধারী কুমির এতে কোন সন্দেহ নেই। শিকার ধরাতে এরা দারুণ পটু ও কৌশলী। কুমির বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরের কামড়ের ওজন কমপক্ষে ১০ টন, আর ধারালো দাঁত ইস্পাতের ছুরির মত শক্ত। নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে এই জলজ প্রাণীটি চোখে দেখেই আমরা মজা পাই চিড়িয়াখানায় কিংবা পার্কে।

হিংস্র এই কুমিরকে বশে আনাই যেখানে দুরূহ একটি বিষয় সেখানে কুমির চাষ করে বহুমুখি সাফল্য অর্জন অলিক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু কুমিরের গোটা জীবনচক্র রপ্ত করে একে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আনার ব্যাপারটি দুঃসাহসিক ও ব্যতিক্রম। কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এ কাজটি করে চলেছে। বিশেষ করে জোরেশোরে চলছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে।

আমাদের বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় হাতির বেড় নামক গ্রামে চার-পাঁচ বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে কুমিরের বাণিজ্যিক উৎপাদন। সুন্দরবনের বাইরে দক্ষিণ এশিয়ায় কুমিরের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র এই রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড। এখানে রয়েছে ৬৭টি পূর্ণবয়স্ক ও প্রজননক্ষম কুমির। ১৫ একর জমির ৩২টি পুকুরে রয়েছে কুমিরগুলো। শুধু তাই নয় এখানে আরও রয়েছে কুমিরের বিভিন্ন বয়সী ২৬৯টি ছানা। বিশেষ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বড় হচ্ছে ছানাগুলো। গত বছরের ১৪১টি ছানার মধ্যে এ পর্যš- টিকে যাওয়া ১৩৯টি ছানা এখন লম্বা প্রায় ৫ ফুটের কাছাকাছি। কুমির লালন পালন, ডিম সংগ্রহ, ছানা ফোটানো এবং ৫ ফুট লম্বা ছানার দেহের প্রতিটি অংশ ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করাই খামারের মূল উদ্দেশ্য। আর ডিম ফোটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই বাণিজ্যিক সাফল্যের প্রথম ধাপ।

আশার কথা হল, কিছুদিনের ভেতরেই বাংলাদেশের রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড কুমিরের মাংস ও দেহের বিভিন্ন অংশসহ বছরে ১ হাজার কুমির রফতানি করতে সক্ষম হবে।

কুমির উৎপাদনে মূল সাফল্য নির্ভর করে ছানা ফুটানোর ওপর। কতটি ডিম থেকে কতটি ছানা ফুটছে এই হিসাবটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কুমির ছানাকে যতই গৌণ করে উচ্চারণ করা হোক না কেন, এই খামারে জন্ম নেয়া একটি কুমিরছানা মানেই লাখ টাকার হিসাব।

রেপটাইলস ফার্মের ইনক্যুবেটরে দ্বিতীয়বারের মত ছানা ফোটাতে ডিম স্থাপন শুরু হয়েছিল চলতি বছর গত ১৭ এপ্রিল। প্রথম সারিতে ছিল ৩৫টি উর্বরা ডিম। অপেক্ষার ৮৮দিন শেষ হয়ে ২২টি সুস্থ কুমিরছানা ডিম ভেঙে বের হয়ে আসে আলো বাতাসে। এবার কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য ৬ শতাধিক উর্বরা ডিম থেকে এ পর্যš- সংগ্রহ করেছে ১৩০টি ছানা। চালু রয়েছে তাদের ছানা উৎপাদন কার্যক্রম। ফার্মটি আশা করছে তিন থেকে সাড়ে ৩০০ ছানা পাওয়া যাবে এবার। ইতোমধ্যেই খামারের ৫৪ মা কুমিরের ২১টি দিয়েছে ৯৪১টি ডিম। যার মধ্যে উর্বরা ডিম পাওয়া গেছে ৫৯৬টি। আর এ বছর ছানা উৎপাদন চলবে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যš-।

উপমহাদেশে প্রথম কুমির চাষের এই বাণিজ্যিক উদ্যোগ নিয়ে হৃদয়ে মাটি ও মানুষে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রয়েছে পুর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor