Monday, September 22, 2008

উত্তরাঞ্চলে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সুযোগ না থাকায় মৌসুমে কয়েক কোটি টাকার সবজি ও ফল নষ্ট হচ্ছে

২২.০৯.০৮
ইত্তেফাক ।। লিমন বাসার, বগুড়া অফিস

উত্তরাঞ্চলে সবজি ও দেশি ফলের চাষে চাষীরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। সবজি চাষের জমির পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। চাষীরা উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করারও সুযোগ পেয়েছে। উৎপাদিত লাউ, কুমড়া, মুলা, পটল, সিম, করলা, বরবটি, আলুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক-মহাসড়কের পাশে বসেছে সবজি হাট। এসব হাটে রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মহাজন আসছে। প্রতিদিনই শত শত ট্রাক বোঝাই যাচ্ছে এসব অঞ্চলে। তবে উৎপাদিত সবজি ও ফল সংরক্ষণ, আধুনিক হিমাগার ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়ায় প্রতিবছর ৫ কোটিরও বেশি টাকার সবজি ও ফল নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উৎপাদকরা।

সবজি ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় গ্রামের মানুষ বাড়ির আঙ্গিনাসহ খোলা জায়গায় ফলজ বৃক্ষ রোপণ করে ফলের উৎপাদন বাড়িয়েছে। এখান থেকে বাড়তি পাওয়া যাচ্ছে কলা, আম, জাম, জামরুল, লিচু, বাতাবী লেবু, বড়ই, আমড়া, কদবেল, আমলকিসহ বিভিন্ন প্রকারের দেশি ফল। বন বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, গত দশ বছরে উত্তরাঞ্চলে দেশীয় ফলের গাছ লাগানোর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে সবজি চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে অনেক। সেখানে চাষ হচ্ছে উচ্চফলনশীল জাতের সবজি। বর্তমানে সবজি বাজার চাঙ্গা হবার কারণে চাষীরা সবজি চাষে ঝুঁকছে বেশি। গ্রামের এই প্রান্তিক চাষীদের বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে উন্নতজাতের সবজি ও ফলের চারা সরবরাহ করছে। এসব সংস্থা থেকেই চাষীদের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। বেসরকারি সংস্থাসমূহের তথ্য থেকে জানা যায়, অপুষ্টির কথা বিবেচনা করে তারা সবজি চাষের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং চাষীদের আধুনিক চাষাবাদে সহযোগিতা দিচ্ছে। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলে সবজি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত বগুড়ার শেরপুর, শিবগঞ্জ, আদমদীঘি, গাবতলীসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলায় গ্রামে গ্রামে সারা বছরই চাষীরা প্রস্তুত থাকে। এই অঞ্চলের ১৫ হাজারেরও বেশি চাষী সবজি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এসব চাষীদের মধ্যে বেশির ভাগই ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষী। পূর্বে এখানে সবজি সংরক্ষণের জন্য একটি এগ্রোবেইড হিমাগার নির্মাণ করা হলেও টেকনিক্যাল সমস্যায় পরবর্তীতে সেটা আর চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রকল্পটিই বাতিল করা হয়।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor